অপরিপক্ব মানব ভ্রুন মানুষের খাবার !!!!! - Get Latest Bangla News Online । Shahoj Kichhu

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Monday, November 25, 2013

অপরিপক্ব মানব ভ্রুন মানুষের খাবার !!!!!


 মানুষই এখন সবচে বড় জন্তু। মানুষ যে কতটা জঘন্য নিচু হতে তার একটি বড় উদাহরন হল অপরিপক্ক মানব ভ্রুন ভক্ষন। সম্প্রতি জানা গিয়েছে চীনের কিছু মানুষ শিশুদেরকে খেয়ে ফেলে। নিজেদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য তারা এই কাজ টি করে থাকে।  চরম ঘৃণিত এই কাজের খবর ইন্টারনেট ও ইমেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা পুরো বিশ্বকে হতবিহবল করে দেয়। কিছুদিন আগে ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সিউল টাইমস’ এর কাছে একটি ইমেইল আসে যাতে ছিল বেশ কিছু ছবি। এ ভয়াবহ, বীভৎস ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ছবিগুলোতে দেখা যায় মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ
ভ্রুন বা ফিটাসের স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের
খাওয়ার জন্য!
আরো প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে থাকে। চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্যানটন বা গুয়াংডন এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জানা গেল সেখানকার পুরুষরা তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে!
একজন স্থানীয় সাংবাদিকের মতে, এই সমস্যার উৎপত্তি মূলত হয়েছে চীনাদের মাত্রাতিরিক্ত স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে। এছাড়া অনেকের মতে, চীন সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‘এক সন্তান নীতি” চালু করেছিল। আর এ হতভাগ্য শিশুগুলো এই নীতিরই নির্মম শিকার। এছাড়া চীনের অধিকাংশ পরিবার মেয়ে সন্তান নয়, ছেলে সন্তান আশা করে। গরীব পরিবারগুলো তাদের মেয়ে শিশুদের বিক্রি করে দেয় অর্থের আশায়। চরম ঘৃণিত “বেবি স্যুপ” এর উদ্ভব এই মানসিকতা থেকেই। তাইওয়ানে মৃত শিশুরা ৭০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয় গ্রিল করা ‘রুচিকর’ (?) খাবার হিসেবে!
হং কং থেকে প্রকাশিত NEXT সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে শিশুদের মৃতদেহ কিংবা ভ্রূণ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষার নতুন উপকরণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়া প্লাসেন্টা বা অমরাকে সুস্বাদু খাবার হিসেবে খাওয়া হয়। এমনকি গুয়াংডনে হাসপাতালগুলোর মাধ্যমেই অনেক সময় এসব অঙ্গ কেনাবেচা হয় ও এগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী।গুয়াংজি প্রদেশের বিংইয়ন পুলিশ একটি ট্রাক থেকে ২৮ টি মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে, যাদেরকে পাচার করা হচ্ছিলো আনহুই প্রদেশে। শিশুগুলোর মাঝে সবচেয়ে বড় বাচ্চাটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস। তিন-চারটি শিশুকে একটি একটি করে ব্যাগে ঢোকানো হয়। উদ্ধারের সময় শিশুগুলো প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় ছিল। ৯ অক্টোবর, ২০০৪ এর সকালবেলা।
সুজহৌ এলাকার জিউকুয়ান শহরের একজন ব্যক্তি আবর্জনা পরিষ্কারের সময় বেশ কিছু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন শিশুদের দেহ আবিষ্কার করেন। দুটি মাথা, ছয়টি পা, চারটি হাত, দুটি ধর পাওয়া গেল। তদন্তে জানা গেল, শিশুগুলোর মাত্রই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল, এদের বয়স হয়েছিল ১ সপ্তাহ ও রান্নার পরে খাওয়ার পর হাত-পা গুলো উচ্ছিষ্ট হিসেবে ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে।
যদিও মানব ভ্রূণ খাওয়া নিষিদ্ধ করে চীনে কঠোর আইন চালু আছে, কিন্তু একইসাথে চীনের ‘এক সন্তান’ নীতি অনেক দম্পতিকে অকালে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করে, যেগুলোর সুযোগ নিচ্ছে একদল জঘন্য মানুষ। এছাড়া মাও সেতুং এর ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ কিছু ক্ষেত্রে চরমপন্থী রূপ ধারণ করে, যার ফলে চীনের অনেকের মাঝেই নৈতিকতা ও মানুষের জীবনের প্রতি সম্মান দেখানোর প্রবণতা কমে গিয়েছে।

Post Bottom Ad