বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ছিল না ,বলেছেন মির্জা ফখরুল - Get Latest Bangla News Online । Shahoj Kichhu

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, January 22, 2014

বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ছিল না ,বলেছেন মির্জা ফখরুল

 বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে কোথাও রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কথা ছিল না। আজ বুধবার খালেদা জিয়ার একটি বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে মির্জা ফখরুল এমন মন্তব্য করেন।সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ‘আদৌ যৌথ বাহিনী’ এবং বাংলাদেশের কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছিলেন কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। তাঁর এই বক্তব্যকে গতকাল মঙ্গলবার ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ বলে মন্তব্য করে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য সৈয়দ আশরাফের মুখে এ ধরনের কথা শোভা পায় না। আমি জানি না, তিনি কোন অবস্থায় ছিলেন, কীভাবে বলেছেন এবং তাঁর জন্য এই বক্তব্য কতটুকু
শোভন। তিনি সত্য বলেননি। মিথ্যাচার করেছেন।’ আজ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির এই নেতা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের নামে সহিংসতার অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ বিরোধী দল নির্মূলের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। এ জন্য সরকার হত্যা
, গুম, খুন চালিয়ে যাচ্ছে সারা দেশে। এই সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের আশ্রয় গ্রহণ করেছে ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। মির্জা ফখরুল দাবি করেন, গত তিন মাসে সারা দেশে তাঁদের ১৮৭ জন নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। ২২৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এসব হত্যা-গুমের জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এসব ঘটনার তদন্তে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র প্রকৃতপক্ষে মৃত। ৫ জানুয়ারি থেকে গণতন্ত্রের শবযাত্রা শুরু হয়েছে।
এ সময় তাঁর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরায় অভিযান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে গত সোমবার খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া ভাষণে বলেন, সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ‘আদৌ যৌথ বাহিনী’ এবং বাংলাদেশের কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছিলেন কি না, তা নিয়েও সংশয় আছে। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, কীভাবে মানুষকে নির্যাতন করেছে। আদৌ যৌথ বাহিনী ছিল কি না, সেটা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ আছে। বাংলাদেশের পুলিশ ও অন্য বাহিনী এত নিষ্ঠুর হবে, এটা নিয়ে মানুষের সন্দেহ রয়েছে। তাদের কাজকর্ম দেখে মনে হয় না সার্বভৌমত্ব অটুট আছে। ৪২ বছর পর আবার স্বাধীনতা হারাতে বসেছি। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরা তো এ দৃশ্য দেখার জন্য বেঁচে নেই।’
গাইবান্ধায় যৌথ বাহিনীর হামলা নিয়েও খালেদা জিয়া একই রকম সংশয় প্রকাশ করেন।

Post Bottom Ad