১১টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে সাত খুনের মূল সন্দেহভাজন নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের।
শিমরাইলে নূর হোসেনের বাড়ি
নজরুলের পরিবার এসব লাইসেন্স
বাতিলের দাবি তোলার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল মতিন রোববার সাংবাদিকদের বলেছিলেন,
“আমরা অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের
প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কার্যালয় হয়ে জেলা প্রশাসকের
কার্যালয়ে যাবে।”
নিয়ম অনুযায়ী, শটগানের
লাইসেন্স দেন জেলা প্রশাসক। পিস্তল ও রিভলবারের লাইসেন্স জেলা প্রশাসকের সুপারিশে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় দেয়। সবগুলো অস্ত্রের লাইসেন্স নারায়ণগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক মনোজ কান্তি বড়ালের হাত দিয়ে হয়েছে। নজরুল অপহরণের পর তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে আনা হয়।
নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও শ্বশুর শহীদুলের দাবি, এসব অস্ত্রের মালিকদের গ্রেপ্তার করলেই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে।
নূর হোসেন ছাড়াও এই অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের মধ্যে রয়েছে তার ভাই নূরউদ্দিন মিয়া, তার ভাতিজা ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, তার সহযোগী মো. শাহজাহান, আলী মোহাম্মদ, সানাউল্লাহ ও জামালউদ্দিন।
আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার সভাপতি নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সিদ্ধিরগঞ্জ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মো. আরিফুল হক হাসানের নামেও দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে।