‘ধানমণ্ডি মাঠ রক্ষার’ দাবিতে আন্দোলনরতরা। আদালত থেকে সম্ভাব্য কোনো নিষেধাজ্ঞা আসার আগেই তড়িঘড়ি করে ধানমণ্ডি মাঠে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার মাঠ প্রাঙ্গণে ‘ধানমণ্ডি মাঠ রক্ষা’ আন্দোলনের এক নাগরিক
সমাবেশে মোবাশ্বের হোসেন বলেন, “আমরা এই মাঠের স্থাপণা নির্মাণ বন্ধে
আদালতে গিয়েছি। আদালত
থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসার আগে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। যেন
নিষেধাজ্ঞা
আসলেও তার আগেই কাজ শেষ হয়ে যায়।
“এসব করে লাভ হবে না, র্যাংগস ভবনও ধুলার সঙ্গে মিশে গেছে। জনগণ চাইলে এখানে যত বড় স্থাপনাই হোক, তা ধুলার সঙ্গে মিশে যাবে।”
ধানমণ্ডি মাঠে স্থাপণা নির্মাণ বন্ধ এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই সমাবেশটি ডাকা হয়।
তিনি বলেন, “আমরা প্রসপেক্টাসে দেখেছি, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার।
“যে ক্লাব অবৈধভাবে একটি মাঠ দখল করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন হয়ে কীভাবে তিনি সেই ক্লাবের চেয়ারম্যান পদে থাকেন? অবিলম্বে তাকে ওই পদ থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
সমাবেশে মোবাশ্বের হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা এম এম আনোয়ার হোসেনের একটি চিঠি উদ্ধৃত করেন যাতে বলা হয়েছে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন হতে কোনো দলিলাদির মাধ্যমে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব লিমিটেডকে মাঠের কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেয়া হয়নি।ওই চিঠির একটি অনুলিপি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতেও রয়েছে।
মোবাশ্বের হোসেন বলেন, “সিটি কর্পোরেশন যেখানে বলছে, এখানে শেখ জামাল ক্লাব বৈধভাবে নেই। সেখানে এলজিইডি কীভাবে এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানকে স্থাপনা নির্মাণে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারে?”
মাঠে খেলতে আসা মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী আলভি রহমান অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে বলেন, “এখানে নাকি টেনিস খেলা হবে। টেনিস কয়জনে খেলে? আমরা এখানে ফুটবল খেলতে চাই।”
আলভির বন্ধু ও ক্লাসমেট ফারদিন আমিন বলেন, “এতো সুন্দর একটা মাঠ কেন বন্ধ ছিলো? এটা নাকি এলিটদের মাঠ! সেটা হবে না। এখানেই আমরা খেলতে চাই। এমনকি টোকাইরা চাইলেও এখানে খেলতে পারে।”অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং ধানমণ্ডির কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।
ধানমণ্ডি আট নম্বর মাঠ হিসেবে পরিচিত স্থানটি শেখ জামালের নাম ব্যবহার করে কিছু ক্রীড়া সংগঠক ‘দখলের পাঁয়তারা’ করছেন বলে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন পরিবেশবাদীদের। এলাকাবাসীর জন্য মাঠটি উন্মুক্ত করে দেয়ারও দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
অন্যদিকে মাঠে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চালানো শেখ জামালের কর্মকর্তারা বলে আসছেন, “এই মাঠ ‘অভিজাতদের’, সাধারণদের এখানে আসতে হবে কেন?”
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব এই মাঠে বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন ও টেনিস কোর্ট তৈরির কাজ শুরু করলে তা বন্ধ করতে হাই কোর্টে যায় পরিবেশবাদীরা।
এর প্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১৫ মার্চ হাই কোর্ট এক রায়ে এই মাঠের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে বলে।
কিন্তু আদালতের রায় শেখ জামাল কর্মকর্তারা মানছেন না দাবি করে গত বছর পুণরায় হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
শেখ জামাল কর্মকর্তারা ক্লাব এবং মাঠের ফটকে নিরাপত্তা প্রহরী বসিয়ে রেখেছিল, যাতে কেউ সেখানে ঢুকতে না পারে।
এর মধ্যে মাঠটি উন্মুক্ত করার দাবিতে এই মাসে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো মাঠে ঢুকে কর্মসূচি পালন করে।
এরপর ‘জোর করে’ মাঠে ঢোকার অভিযোগ এনে শেখ জামাল ক্লাব কর্তৃপক্ষ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ক্রীড়া সংগঠক কামরুননাহার ডানাসহ চারজনকে আসামি করে মামলাকরে।তবে ২৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটিকর্পোরেশনের ঝোলানো নোটিসে মাঠটি সবার জন্য উন্মুক্ত বলে জানানো হয়। মাঠের কয়েকটিস্থানে ঝোলানো হয় এই নোটিস।
“এসব করে লাভ হবে না, র্যাংগস ভবনও ধুলার সঙ্গে মিশে গেছে। জনগণ চাইলে এখানে যত বড় স্থাপনাই হোক, তা ধুলার সঙ্গে মিশে যাবে।”
ধানমণ্ডি মাঠে স্থাপণা নির্মাণ বন্ধ এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই সমাবেশটি ডাকা হয়।
তিনি বলেন, “আমরা প্রসপেক্টাসে দেখেছি, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার।
“যে ক্লাব অবৈধভাবে একটি মাঠ দখল করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন হয়ে কীভাবে তিনি সেই ক্লাবের চেয়ারম্যান পদে থাকেন? অবিলম্বে তাকে ওই পদ থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
সমাবেশে মোবাশ্বের হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা এম এম আনোয়ার হোসেনের একটি চিঠি উদ্ধৃত করেন যাতে বলা হয়েছে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন হতে কোনো দলিলাদির মাধ্যমে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব লিমিটেডকে মাঠের কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেয়া হয়নি।ওই চিঠির একটি অনুলিপি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতেও রয়েছে।
মোবাশ্বের হোসেন বলেন, “সিটি কর্পোরেশন যেখানে বলছে, এখানে শেখ জামাল ক্লাব বৈধভাবে নেই। সেখানে এলজিইডি কীভাবে এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানকে স্থাপনা নির্মাণে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারে?”
মাঠে খেলতে আসা মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী আলভি রহমান অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে বলেন, “এখানে নাকি টেনিস খেলা হবে। টেনিস কয়জনে খেলে? আমরা এখানে ফুটবল খেলতে চাই।”
আলভির বন্ধু ও ক্লাসমেট ফারদিন আমিন বলেন, “এতো সুন্দর একটা মাঠ কেন বন্ধ ছিলো? এটা নাকি এলিটদের মাঠ! সেটা হবে না। এখানেই আমরা খেলতে চাই। এমনকি টোকাইরা চাইলেও এখানে খেলতে পারে।”অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং ধানমণ্ডির কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।
ধানমণ্ডি আট নম্বর মাঠ হিসেবে পরিচিত স্থানটি শেখ জামালের নাম ব্যবহার করে কিছু ক্রীড়া সংগঠক ‘দখলের পাঁয়তারা’ করছেন বলে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন পরিবেশবাদীদের। এলাকাবাসীর জন্য মাঠটি উন্মুক্ত করে দেয়ারও দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
অন্যদিকে মাঠে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চালানো শেখ জামালের কর্মকর্তারা বলে আসছেন, “এই মাঠ ‘অভিজাতদের’, সাধারণদের এখানে আসতে হবে কেন?”
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব এই মাঠে বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন ও টেনিস কোর্ট তৈরির কাজ শুরু করলে তা বন্ধ করতে হাই কোর্টে যায় পরিবেশবাদীরা।
এর প্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১৫ মার্চ হাই কোর্ট এক রায়ে এই মাঠের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে বলে।
কিন্তু আদালতের রায় শেখ জামাল কর্মকর্তারা মানছেন না দাবি করে গত বছর পুণরায় হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
শেখ জামাল কর্মকর্তারা ক্লাব এবং মাঠের ফটকে নিরাপত্তা প্রহরী বসিয়ে রেখেছিল, যাতে কেউ সেখানে ঢুকতে না পারে।
এর মধ্যে মাঠটি উন্মুক্ত করার দাবিতে এই মাসে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো মাঠে ঢুকে কর্মসূচি পালন করে।
এরপর ‘জোর করে’ মাঠে ঢোকার অভিযোগ এনে শেখ জামাল ক্লাব কর্তৃপক্ষ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ক্রীড়া সংগঠক কামরুননাহার ডানাসহ চারজনকে আসামি করে মামলাকরে।তবে ২৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটিকর্পোরেশনের ঝোলানো নোটিসে মাঠটি সবার জন্য উন্মুক্ত বলে জানানো হয়। মাঠের কয়েকটিস্থানে ঝোলানো হয় এই নোটিস।