বিজ্ঞাপণ আর দর্শকদের সহজে আকৃষ্ট করতে মিডিয়া মোগলদের প্রচেষ্টার অন্ত নেই।
তুরস্কের এক টিভি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ৬২ বছরের সেফার কালিনাক।
প্রেমিক-প্রেমিকাদের ডেটিংয়ের ওপর আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে তিনি নিজের সাবেক
স্ত্রী এবং এক প্রেমিকাকে কীভাবে হত্যা করেছেন তা রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করেন।
এ ঘটনা সে দেশের সংবাদ মাধ্যমে আলোড়ন তৈরি করেছে।
তুরস্কের ফ্লাস টিভির ‘লাক অব দা ড্র’ অনুষ্ঠানে স্ত্রী ও প্রেমিকাকে খুন
করার কথা প্রকাশ করার পর সেফার কালিনাক বলেন,‘আমি একজন সৎ মানুষ। এখন নিজের
জন্য একটি নতুন বৌ জোগাড়ের চেষ্টা করছি।’ এ কথা বলার পর তাকে অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন উপস্থাপিক। পরদিন দেশের সবকটি সংবাদপত্রে শিরোনাম ছিল এই খবর।
অনুষ্ঠানে কালিনাক আরো বলেন, তার প্রথম স্ত্রী যিনি তার চাচাতো বোন ছিলেন,
সে ছিল সন্দেহপরায়ন। এ কারণে তিনি তাকে হত্যা করেন। তবে প্রেমিকারে
খুনটিকে তিনি দুর্ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন। কুঠার ঘোরানো সময় নাকি
দুর্ঘটনাবশত এটি তার গায়ে লাগলে সে মারা যায়। ।
ওই অনুষ্ঠানের পর স্থানীয় হেবারতুর্ক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আর কোনো
স্ত্রীকে হত্যা করবেন না বলেও শপথ করেছেন কালিনাক। তার ভাষায়,‘আমি যখনই
কোনো নারীকে এসব হত্যাকাণ্ডের কথা বলি তখন তারা আমাকে ছেড়ে যায়। আমি ১৪ বছর
জেল খেটেছি। এখন আমি অনেক বদলে গেছি। আমি আর কোনো নারীকে খুন করব না।’
এই ঘটনায় ক্ষেপেছে তুর্কী মিডিয়া পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠি। গোষ্ঠির প্রধান
হুলায়া উগুর তানরিওভার ওই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
জানিয়েছেন। এছাড়া কালিনাকের অতীত ক্রিমিনাল রেকর্ড খতিয়ে দেখারও আহ্বান
জানিয়েছেন তিনি।